ওজন বাড়ানোর ১০ টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

  

আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শরীরের ওজন ঠিক রাখা। সাধারণত ওজন কমাতে অনেক চেষ্টা করে থাকে কিন্তু আপনার উচ্চতা অনুযায়ী ওজন যদি কমে যায় তাহলে আপনি সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন আবার যদি ওজন বেড়ে যায় তাহলেও আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে ওজন ঠিক রাখার কোনো বিকল্প নেই। এবং আমাদের ওজন কম থাকলে নির্দিষ্ট পরিমাণের ওজন বাড়াতে হবে তাহলে চলুন ওজন বাড়ানোর ১০ টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।


পোস্ট সূচিপত্রঃ


শুকনো ফল খেয়ে ওজন বৃদ্ধি করবেন যেভাবেঃ

আপনার শারীরিক ওজন বাড়াতে খেতে পারেন শুকনো ফল এক্ষেত্রে আপনার জন্য সবচেয়ে উপকারী হবে যে খাবারগুলো তা হল বাদাম খেজুর ও কিসমিস আপনার দিনের শুরুটা হোক বাদাম কিসমিস খেজুর দিয়ে কেননা এই সমস্ত খাবার থেকে প্রচুর কেনই পাওয়া যায় এবং এই ক্যালোরি আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ ১৫ টি দেশি ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে ওজন বাড়াবেন যেভাবেঃ

আপনার দেহে প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালোরি ক্ষয় হয় তার থেকে 600 থেকে 700 গ্রাম ক্যালোরি খাবার বেশি খেতে হবে। যেমন ভাত, মাছ, মাংস, শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, দুধ জাতীয়,খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত।

উচ্চমানের ক্যালরি যুক্ত খাবার খেয়ে ওজন বাড়াবেন যেভাবেঃ

আপনার শারীরিক ওজন বাড়াতে চাইলে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় উচ্চমানের ক্যালরিযুক্ত খাবার রাখা উচিত। এ জাতীয় খাবার গুলো হলো কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট, চিনাবাদা্ম, ফুলক্রিম দই, মুরগির মাংস, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, কলিজা, আলু, মিষ্টি আলু, ভাজা আলু, মিষ্টিজাতীয় খাদ্য, চকলেট, কলা, মিল্ক, ডিম, আঙ্গুরের জুস, আনারস, মাখন ইত্যাদি।

প্রতিদিন কয়েকবার খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ওজন বাড়ানঃ 

যাদের ওজন কম থাকে তাদের প্রতিদিন কয়েকবার খাবার খাওয়া উচিত কেননা তাদের দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা উচিত নয় পেট খালি রাখলে তাদের শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি পূরণ হবে না। প্রতিদিন যদি পুষ্টিকর উচ্চমানের ক্যালরিযুক্ত খাবার বারবার গ্রহণ করা হয় হলে তাদের প্রতিদিনের ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করা যায় এতে তাদের দ্রুত ওজন বাড়ানো যায়।

শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে ওজন বাড়ানঃ

যাদের ওজন কম তারা অনেকেই শর্করা জাতীয় খাদ্য কম গ্রহণ করে। এটা তাদের জন্য মোটেও উচিত নয়। যাদের ওজন কম আছে তাদের অবশ্যই মোট ক্যালরির শতকরা 50 থেকে 70 ভাগ শর্করা খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। দিনে অন্তত পক্ষে তিন থেকে চার বার প্রধান খাবার হিসেবে শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমনঃ আলু,আটা, চাল, পাস্তা ইত্যাদি।

আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে ওজন বাড়ানঃ

আপনার ওজন বাড়াতে আমিষ যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যান্ত জরুরী। শরীরের প্রতি ১০০০ কিলোগ্রাম ওজনের জন্য ১.৫- ২.২  গ্রাম আমিষ জাতীয় খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। যেমনঃ ডিম দুধ মাছ মাংস দাউদ এবং বীজজাতীয় খাবার আমিষের অন্যতম উৎস।

ফল ও শাকসবজি খেয়ে ওজন বাড়াবেন যেভাবেঃ 

ফল ও শাক-সবজি যেমন আমাদের শারীরিক ওজন কমাতে সাহায্য করে ঠিক তেমনি আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করে কারণ কিছু এমন ফল আছে যাতে প্রচুর ক্যালরি থাকে ওজন বাড়াতে চাইলে আমাদের আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচা কলা ইত্যাদি এই সমস্ত ফল ও শাকসবজি গুলো আমাদের খাওয়া উচিত।

ঘুমানোর পূর্বে মধু ও মধু সেবন করে ওজন বাড়ানঃ

আমাদের ওজন বাড়াতে প্রতিবেলা পেট ভরে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আমাদের আরো বেশ কয়েকটি দিক খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ যাদের শারীরিক ওজন কম তাদের ঘুমানোর পূর্বে মধু ও দুধ খাওয়া উচিত। 

আরো পড়ুনঃ আপনার বয়সের সাথে উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা তালিকাটি দেখে নিন

কেননা এটি আপনার শরীরে বাড়তি ওজন যোগ করতে সাহায্য করবে প্রতিরাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস দুধের সাথে চা চামচের এক চামচ মধু মিশিয়ে খান এতে আপনার শরীরের ক্যালরি ঘাটতি পূরণ হবে এবং আপনার শারীরিক ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমিয়ে কিভাবে ওজন বাড়ানো যায়ঃ 

আপনার শারীরিক ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। এর পাশাপাশি আপনাকে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাটাও জরুরি। কেননা আপনি যখন বিশ্রাম নেবেন বা ঘুমাবেন তখন যদি আপনি দুশ্চিন্তামুক্ত না থাকেন তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হবে না। আবার আপনার পর্যাপ্ত ঘুমের পেছনে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

আরো পড়ুনঃ লম্বা হওয়ার ১০ টি কার্যকরী উপায়

বিশেষ করে আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে আবার আপনি যখন দুপুরবেলা ভাত খান ঠিক ভাত খাওয়ার পরে আপনি যদি কিছুক্ষণ ঘুমান তাহলে এতে আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করে যেভাবে ওজন বাড়েঃ 

আপনার পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত শরীরচর্চা করা শুধু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এটি ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেননা আপনার ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরচর্চা আপনার ক্ষুধা বাড়াতে সহায়তা করে। 

এবং আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আর যখন আপনি নিয়মিত শরীরচর্চা পড়বে তখন আপনার ক্ষুধা লাগবে আর সেই সময়ে যদি আপনি পুষ্টিকর খাদ্য খান তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন বাড়বে।

সর্বশেষ কথাঃ

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আপনাদের মাঝে আবার একটি নতুন পোস্ট ওজন বাড়ানো ১০টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত এই বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট লেখা হয়েছে। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এই পোষ্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের মাঝে শেয়ার করুন এবং এমন আরো নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমার সাথে থাকুন সেইসাথে এই সমস্ত পোস্ট বিষয়ে কোন কিছু আপনার জানার থাকলে বা আমাকে জানানোর থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url