রোগা থেকে মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

  

আমরা প্রতিনিয়তই মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায় গুলো জেনেছি। অতএব আজ আপনাদেরকে জানাবো যে কিভাবে রোগা থেকে মোটা হওয়া যায়। মোটা হওয়া যেমন নিজের কাছে অস্বস্তিকর। ঠিক চিকন হওয়া কিন্তু আবার নিজের জন্য বেমানান। আপনারা বয়সের তুলনায় শরীর চিকন হওয়াই আপনারা অনেক কিছুই ট্রাই করছেন যে কিভাবে মোটা হওয়া যায় কিন্তু কোন কাঙ্খিত ফলাফল পাচ্ছেন না। অতএব আজকের এই পোস্টের মধ্যে কিভাবে রোগা থেকে মোটা হওয়া যায় সে বিষয়ে আপনাদের জানানো হবে। এ বিষয়ে জানতে হলে আপনাদেরকে পুরো পোস্টটি পড়তে হবে তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা আলোচনা শুরু করি।

ওজন কম হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে যা জানা দরকারঃ

ওজন কম হওয়ার যে সমস্ত কারণগুলো রয়েছে তন্মধ্যে, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, কিডনির সমস্যা, যক্ষা, ফুসফুসের সমস্যা, ড্রাগস নেওয়া, এইডস ইত্যাদি। তাছাড়াও বয়সের কারণে অনেকের শারীরিক ওজন কম বেশি হতে পারে তাই এই সমস্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা একজন ব্যক্তির জন্য অতীব জরুরী।

রোগা থেকে মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

নিয়মিত ব্যায়ামঃ 

আপনারা অনেকেই জানেন যে মোটা থেকে চিকন হওয়ার ব্যায়াম রয়েছে কিন্তু আপনার অনেকে জানেন না যে চিকন থেকে মোটা হওয়ার ও ব্যায়াম রয়েছে। ব্যায়াম করা ওজন কমাতে যেমন প্রয়োজন ঠিক আপনার ওজন বৃদ্ধি করতেও ব্যায়ামের প্রয়োজন। 

আরো পড়ুনঃ ওজন বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী উপায়

তবে শুধু দৌড়ঝাঁপ ব্যায়ামের জন্য যথেষ্ট নয়। এজন্য আপনাকে জিমে যেতে হবে কেননা সেখানে অভিজ্ঞ ট্রেনার থাকে। সেখানে গেলে সেখানকার ট্রেনার আপনাকে দেখে তিনি বলে দেবেন যে আপনাকে কোন ব্যায়াম করতে হবে এবং আপনার মোটা হওয়ার জন্য কোন ব্যায়াম টি করা প্রয়োজন।

কিছুক্ষণ পরপর খাদ্যগ্রহণঃ

কিছুক্ষণ পর পর খাদ্য গ্রহণ করা সকল মানুষেরই উচিত। কমপক্ষে প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন যেমন আপনি ২ ঘন্টা অন্তর অন্তর দুধ, ডিম, দই, কলা, এবং অন্যান্য ফল সমূহ এগুলো খেলে আপনার শারীরিক পুষ্টি সাধন হবে এবং সেই সাথে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে বা মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য গ্রহণঃ

আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার রাখা জরুরি। আপনি কার্বোহাইড্রেট বলতে ভাত,রুটি,এবং আলু ইত্যাদি এ সমস্ত বিষয়াদি বোঝায় আপনাকে নিয়মিত এসকল খাদ্যগুলো খেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ সকালে খেজুর খাওয়ার১০টি উপকারিতা

কিন্তু আপনাকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে আপনি একেবারে বেশি খেতে পারবেন না কেননা এটি আপনার দেহের মধ্যে অতিরিক্ত ফ্যাট তৈরি করতে পারে। তাই আপনি একদম বেশি না খেয়ে সাধারণের তুলনায় একটু বেশি খান এতে আপনার মোটা হতে সাহায্য করবে।

অধিকহারে ক্যালোরি গ্রহণঃ

ওজন কমানোর জন্য যে পরিমান ক্যালরি বার্ন করি আমরা ওজন বৃদ্ধি করতে সে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করি না তার থেকে কম গ্রহণ করি। আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য অধিকহারে ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত 500 থেকে 600 ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। 

এবং আপনি যদি দ্রুত ওজন বাড়িয়ে আস্তে আস্তে ওজন বাড়াতে চান বা মোটা হতে চান তাহলে আপনাকে দৈনিক 300 থেকে 400 ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণঃ

আপনার মোটা হওয়ার জন্য বা শারীরিক ওজন বৃদ্ধিতে শুধু ক্যালোরি যথেষ্ট নয় আপনাকে ক্যালরির পাশাপাশি প্রোটিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে আপনি সঠিক প্রোটিন গ্রহণ না করলে আপনার শরীরের জন্য ক্যালোরি বাড়তি ফ্যাটের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আপনাদের প্রতিদিনের খাদ্যের পাশাপাশি ডিম, ডাল, দুধ ইত্যাদি অবশ্যই রাখতে হবে।

ড্রাই ফ্রুটস যুক্ত খাবারঃ

আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ড্রাই ফ্রুটস যুক্ত খাবার রাখুন। ড্রাই ফ্রুটস যুক্ত খাবার বলতে শুকনো খাবার গুলো কে বোঝায় যেমন আপনার প্রতিদিন কমপক্ষে দুইটি কিসমিস ও কাজুবাদাম খাওয়া প্রয়োজন এবং সেইসাথে আপনি খেজুর খেতে পারেন এতে আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাঃ

সব সমস্যা সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে দুশ্চিন্তা। মানুষ যখন কোন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন তখন তার শারীরিক ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার চাইতে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তবে এখনকার সময়ে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা খুবই কঠিন তার পরেও আপনাকে চেষ্টা করতে হবে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা।

পরিমিত ঘুমঃ

স্বাস্থ্যের উন্নতি ও অবনতি ঘটার দিক দিয়ে ঘুম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে কাজ করে। আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। পরিমিত ঘুম যদি না হয় তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে না বরং আপনার দেহের জন্য এবং আপনার মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করতে আপনার প্রতি অবনতি সৃষ্টি হবে। তাই আপনার উচিত প্রতিদিন পরিমিত ঘুমানো।

ঘুমানোর আগে দুধ ও মধুর কার্যকারিতাঃ

আপুনি ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমন কোন পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন যা আপনার ঘুমানোর মাঝেও আপনার ওজন বৃদ্ধিতে মোটা হতে সাহায্য করবে। আপনার শরীরে ঘুমানোর সময় যদি দুধ ও মধু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে আপনার দেহের মধ্যে ক্যালোরি কাজ করবে। তাই আপনার জন্য উচিত ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু খাওয়া এটি ওজন বৃদ্ধিতে একটি ও মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে সহজ উপায়।

প্রতিদিনের ডায়েটে চকলেট ও চীজ রাখুনঃ

অধিকন্তু আমরা আপনাদেরকে বাইরের যে সকল ফাস্টফুড বা আইসক্রিম পেস্ট্রি ইত্যাদি এসকল খাবারগুলো খেতে নিষেধ করি কিন্তু আপনারা আপনাদের ওজন বৃদ্ধি করতে এগুলো খেতে পারেন কিন্তু আপনাদেরকে মাথায় রাখতে হবে যে এগুলো অধিকহারে খাওয়া যাবে না কেননা অধিকহারে খেলে আপনাদের শরীরে ফ্যাট জমে যাবে যা আপনার দেহের পক্ষে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। এবং আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে চকলেট ও চিজ রাখতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ লম্বা হওয়ার কার্যকরী টিপস

এবং আপনাকে প্রতিদিনের এই সকল বিষয়ের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি সেবন করতে হবে। আশা করি আপনি উপরের এই সকল বিষয়গুলো লক্ষ্য করে চললেই আপনি মোটা স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন আপনাকে আর রোগা দেখাবেনা।

মন্তব্যঃ 

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকে আপনাদের সামনে রোগা থেকে মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি অতএব আমার এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন এবং এমন আরো নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমার ওয়েবসাইট এর পাশে থাকুন। এবং এই পোস্ট বিষয়ক আরো কিছু জানার থাকলে বা আমাকে জানানোর থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url