কিসমিস ও বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

 সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ কিসমিস ও বাদাম এমন একটি খাদ্য যা আমাদের দেহে কে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তো আজকে আমরা কিসমিস ও বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। আপনি যদি আপনার দেহকে শক্তিশালী ও সতেজ রাখতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

কিসমিস ও বাদাম

পোস্ট সূচিপত্রঃ এক নজরে দেখে নিন

কিসমিসের উপকারিতা

অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হল কিসমি স এই কিসমিস তৈরি করা হয় আঙ্গুকে শুকিয়ে ।আর যখন কোন ফোর্সকে ড্রাই করা হয়  তখন তার ক্যালরি অনেক বেড়ে যায় এবং সেটি আরো এনার্জিটিক হয়ে যায় যায়। তো তেমনি ফুডস হচ্ছে কিসমিস। 

১০০ গ্রাম আঙ্গুলে রয়েছে ৬৯গ্রাম ক্যালোরি আর ১০০ গ্রাম কিসমিসের মধ্যে রয়েছে ২৯৯ গ্রাম ক্যালোরি। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে গ্লুকোজ যা আমাদের দেহকে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি টিক সাপোর্ট দেয়। এর জন্য শারীরিক দুর্বলতা দূর করার জন্য কিসমিস খুবই উপকারী একটি খাদ্য।

আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড় গঠনে সহায়তা করে। তারপর যারা আয়রন সমস্যায় ভুগছেন তারা কিসমিস খেতে পারেন কারণ কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আইরন। আবার আমাদের অনেকেরই হিমোগ্লোবিন কমে যায় সে ক্ষেত্রে নিয়মিত কিসমিস খেলে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আবার আমাদের যাদের পায়খানা ক্লিয়ার হয় না আমরা যদি নিয়মিত কিসমিস খাই তাহলে আমাদের পায়খানা সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আমাদের রক্তকে ভালো রাখতে সাহায্য করে এই কিসমিস । কিসমিস একটি অ্যান্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।শারীরিক মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে।

আবার বিশেষ গবেষণাগারে থেকে পরীক্ষিত যে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই কিসমিস তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ১০ কি করে নিয়মিত সেবন করা খুবই প্রয়োজন।

বাদামের উপকারিতা

বাদামের কোন বিকল্প নেই এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নিয়মিত বাদাম খেলে বিভিন্ন রোগ  যে নির্মূল করে। তা কারোর অজানা নয় কিন্তু তাই আমরা নিয়মিত বাদাম সেবন করব। বাদাম শক্তির ভালো উৎস বাদাম খাওয়ার ফলে এনার্জি দেয় শরীরে নিয়মিত এই বাদাম খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।

আরো পড়ুনঃ ডালিমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

বাদামে এক প্রকার তিল থাকি যাবি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ এর জন্য একটি শক্তিশালী খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও বাদেমে রয়েছে ভিটামিন বি মেমোরি শক্তি বৃদ্ধি করে । বাদামে পটাশিয়ামের পরিমাণ উচ্চমাত্রায় থাকে এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। 

সোডিয়ামের মাত্রা যদি বেশি হয় তাহলে দেহে রক্ত বৃদ্ধি পায়  রক্তচাপ বেড়ে যায় এক্ষে ক্ষেত্রে নিয়মিত বাদাম খাওয়া উপকারী। আমরা যদি নিয়মিত বাদাম খাই তাহলে আমাদের কোলেস্টেরল মাত্রা ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বাদাম উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাওয়ার হওয়ার কারণে দ্রুত হজমের শক্তি বাড়ায়। তাই যারা কোরিস্টল রোগে ভুগতেছেন তারা নিয়মিত বাদাম খেতে পারেন তাহলে এর থেকে অনেকটা  নিয়ন্ত্রণ থাকবে কোলেস্টেরল। বাদামে একপ্রকার এসিড পাওয়া যায় ।যা হার্টের পক্ষে খুবই উপকারী ।ম্যাগনেসিয়াম তামা লোহার মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা আমাদের রক্ত সঞ্চালন কে স্বাভাবিক রাখে।

আপনি যদি দিনে একবার বাদাম খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ক্যালরির জন্য অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে না অনেক চাহিদা পূরণ করে এই বাদামি তাই আমরা নিয়মিত বাদাম সেবন করব। বাদাম খাদ্য ম্যারেজ হিসেবে পরিচিত আর তাই মনের বিছানাতে দূর করে মনকে রিফ্রেশ করে ।

কিসমিস ও বাদাম খাওয়ার নিয়ম

কিসমিস ও বাদাম সারাদিনের ভেতর যেকোনো সময় খাওয়া যায়। কিন্তু সব থেকে ভালো সময় হচ্ছে রাতে শোয়ার আগে কিসমিস ও বাদাম ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে এক গ্লাস পানির ভেতরে বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলায় খালি পেটে খেলে অনেক উপকার হয়। শুধু কিস মিস ও বাদাম খেয়ে পানিগুলা ফেলে দেবেন না কারণ সে পানিটাও অনেক পুষ্টিকর একটি উপাদান পানিটাও সেবন করা উপকার।

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক বিন্দু আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আমরা অনেক কিছুই কিসমিস ও বাদামের উপকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। যদি আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়তে ভালো লাগে তাহলে সাথেই থাকুন । আবারো দেখা হচ্ছে কোন আর্টিকেলের সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url