টিভি ও মনিটরের মধ্যে ১২ টি পার্থক্য জেনে নিন

 র‍্যাম কি?র‍্যাম কিভাবে কাজ করে

বর্তমানে আমাদের প্রত্যেকের বাসাতেই টিভি এবং মনিটর রয়েছে। টিভি ও মনিটর দেখতে প্রায় একই রকম হলেও এই দুটির মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আমরা এবার টিভি ও মনিটর মধ্যে থাকা পার্থক্য গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করি।

টিভি ও মনিটরের  পার্থক্য

আজকে আর্টিকেলটি লেখার মূল উদ্দেশ্য আপনাদেরকে টিভি ও মনিটর এর মধ্যে পার্থক্য গুলো জানান। এবং আজকের এই পোস্ট টি পড়ে আপনারা জানতে পারবেন যে টিভি ও মনিটর কি এক না আলাদা। এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের আর মনে হবে না যে মনিটর টিভি এক।

টিভি ও মনিটরের মধ্যে কার পার্থক্য গুলো দেখে নিন।

  • বহিরাগত দিক থেকে আমরা যা দেখতে পায় তা হল টিভির সঙ্গে কেবল বক্স সংযুক্ত করা থাকে এবং মনিটরের সাথে পিসির সংযোগ থাকে।
  • আমরা বাজারে বড় সাইজের টিভি কিনতে পাই কিন্তু বড় সাইজের মনিটর কিনতে পায়না। এর কারণ হলো টিভির নির্দিষ্ট কোন পরিমাপ নেই তাই এটি বড় সাইজের কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু মনিটরের নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে তাই এটি বড় সাইজের হয়না।
  • আবার মনিটর যেহেতু বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে তাই সেই সকল কাজ গুলোর কথা মাথায় রেখে মনিটরকে খুব High configuration ভাবে তৈরি করা হয়। যা টিভির ক্ষেত্রে এগুলোর খুব একটা দরকার পড়ে না।
  • দামের দিক দিয়ে বিবেচনা করতে গেলে আমরা যখন বাজারে টিভি কিনতে যাই তখন দেখি যে বিভিন্ন দামের টিভি রয়েছে অনেক সময় দেখা যায় যে টিভির দাম বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু সে দিক থেকে টিভির দিক দিয়ে মনিটরের দাম সাধারণত কম হয়ে থাকে।
  • টিভিতে আবার হাই রেজুলেশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে কিন্তু মনিটরে শুধুমাত্র হাই রেজুলেশনের ছবি দেখা যায়।
  • যেহেতু আমরা মনিটরের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোগ্রামের কাজ করে থাকি সেহেতু আমাদের কে মনিটর রান করানোর দরকার হয় এতে মনিটরের ফিডব্যাক টাইম খুব কম লাগে। বা আমরা বলতে পারি যে মনিটর অতি দ্রুততার সাথে Response করতে পারে। আবার টিভিতে এ সকল কাজের যেহেতু দরকার পড়ে না সেইজন্য টিভির Response করতে প্রচুর সময়ের প্রয়োজন হয়।
  • মনিটরে রয়েছে উন্নত মানের কালার কোড বা আমরা সঠিক কালার কোড বলতে পারি যার কারণে আপনারা একেবারে Real color সব সময় আপনি দেখতে পাবেন। কিন্তু আপনারা টিভির দিকে খেয়াল করে দেখবেন যে আপনাদের টিভিটি On করার সাথে সাথেই টিভির আলোটি আপনার চোখে এসে পড়বে। তাই বলা যায় যে টিভিতে High contrast কালার ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেন দর্শকেরা বিভিন্ন মুভি বা বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম দেখে বেশি আনন্দ পায়।
  • আপনার ভাষাতে যদি মনিটর এবং টিভি থাকে তাহলে আপনি পরীক্ষা করে দেখতে পাবেন যে টিভির তুলনায় মনিটরে Sound কম থাকে। কেননা মনিটর সাধারণত বিভিন্ন ধরনের মুভি দেখার জন্য তৈরি করা হয় না এটি মূলত বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম আদি কাজকর্ম করার জন্য তৈরি করা হয়। আবার যেহেতু টিভি বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম বা মুভি দেখার জন্য তৈরি করা হয়েছে সেজন্য টিভিতে সাউন্ড বেশি থাকে।
  • আবার টিভিতে বিভিন্ন ধরনের ইনপুট পয়েন্ট থাকে যেমনঃUsb,Vga,Hdm ইত্যাদি কিন্তু মনিটরে সাধারণত এসব থাকেনা কারণ মনিটর হল পিসিতে সংযুক্ত অবস্থায় থাকে তাই।
  • আবার আমরা টিভির দিক দিয়ে দেখতে পাই যে টিভিতে সাধারণত 60 MHz ফ্রেম রেট থাকে আবার কিন্তু মনিটরে 240 MHz ফ্যাট থাকে।
  • বর্তমান সময়ে মনিটরকে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যেন মনিটর এর মাধ্যমে টিভির কাজ করা যায়। কিন্তু আমরা মনিটর দিয়ে যেসব কাজগুলো করতে পারবো সেই কাজগুলো টিভির মাধ্যমে করা সম্ভব নয়।
  • আমরা প্রায়ই দৈনন্দিন কাজেই টিভি এবং মনিটর ব্যবহার করে থাকি। অতএব এগুলো আমাদের প্রতিদিনের জন্য নিত্য সঙ্গী হিসেবে থাকে। কিন্তু আমরা যখন এগুলো সামনে বেশিক্ষণ ধরে বসে থাকি তখন আমাদের চোখের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সকল সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য টিভি ও মনিটরকে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে।

মন্তব্যঃ

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আপনাদের সামনে টিভি ও মনিটর সম্পর্কিত একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছি এই পোস্টটি যদি আপনাদের পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনাদের বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন এবং এমন আরো পোস্ট পেতে আমার ওয়েবসাইট এর পাশে থাকুন সেই সাথে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url