রোজা অবস্থায় দাঁত ব্রাশ ও অজু করার নিয়ম বিস্তারিত

আমাদের সকলেরই রোজা অবস্থায় দাঁত ব্রাশ করা যাবে কি না অজু করার নিয়ম জানা প্রয়োজন । এই পোস্টটিতে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব রোজা  অবস্থায় দাঁত ব্রাশ করা যাবে কি না, ওযু করার নিয়ম ,রোজাদার ব্যক্তির করণীয, সে সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

ওযু অবস্থায় দাঁত ব্রাশ

সূচিপত্র এক নজরে দেখে নিন  

রোজা অবস্থায় ব্রাশ করা যাবে কিনা

আপনি যদি রোজা অবস্থায় সকালে দাঁত ব্রাশ করতে চান তাহলে আপনার জন্য জায়েজ রয়েছে। পেস্ট ও ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজা জায়েজ রয়েছে। এতে রোজা নষ্ট হবে না। এ যুগে গবেষণা পর্যায়ের যে বড় বড় আলেম একরামরা রয়েছে তারা গবেষণা করে বলেছেন রোজা অবস্থায় দাঁত ব্রাশ করলে রোজা নষ্ট হয় না। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোন ভাবে যেন পেস্ট মুখের ভিতরে চলে না যায়। 


বড় বড় আলেম একরামরা বলেছেন যে সকাল বেলা দাঁত ব্রাশ করা জায়েজ কিন্তু বেশিক্ষণ ধরে দাঁত ব্রাশ করা ঠিক নয় এতে দাঁতের রক্তক্ষয় হতে পারে । আর এসব রক্তের কারণে রোজা নষ্ট হতে ও পারে। তাই আমরা যদি ব্রাশ করতে চাই তাহলে  বেশিক্ষণধরে ব্রাশ করা উচিত নয়।

রোজা অবস্থায় অজু করার নিয়ম

রোজা অবস্থায় অজু করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ রোজা রেখে একটু ভুলের কারণে আমাদের এই রোজা ভেঙে যেতে পারে  তাইআমাদের সঠিক নিয়মে অজু করা জ্ঞান থাকতে হবে।

রোজা অবস্থায় ওযু করার সঠিক নিয়ম হচ্ছে আপনি যখন নাকেও মুখে পানি দিবেন তখন অতি সতর্কতার সাথে পানি ব্যবহার করতে হবে কেননা আমাদের নাকের মধ্যে ছিদ্র থাকে যার মধ্য দিয়ে আমাদের পেট পর্যন্ত পানি চলে যায় তাইআমরা অতি জোরে পানি নাকে দেবো না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আবার আমরা যখন মুখে পানি ব্যবহার করব বা গড়গড় করব তখন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ আমরা যখন বেশি পানিনিয়ে মুখের ভিতর গরগর করব তখন মুখের ভেতর দিয়ে পেটে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।তাই আমরা খুব অল্প পরিমাণে পানি নিয়ে কুলি করে ফেলব তাহলে আমাদের পেটের ভেতর যাওয়া সম্ভাবনা থাকে না.

রোজাদার ব্যক্তির করণীয়

রমজান মাস হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস এই মাসে শুধু না খেয়ে থাকলেই হবে না আমাদের আমাদেরকে অনেক কিছু বর্জন ও করণীয় কাজ করতে হবে প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তিকে রমজানে করণীয় বর্জনীয় কি সম্পর্কে তা জ্ঞান থাকতে হবে । একজন রোজার ব্যক্তির অনেক কিছু গ্রহণীয় থাকি রোজাদার ব্যক্তি করণীয় ভুলের মধ্যে বেশি বেশি করে তওবা করা উচিত। 

আল্লাহর কাছে বেশি বেশি মাফ চাইতে হবে বেশি বেশি আমল করতে হবে ।রোজা অবস্থায় থাকা কোন ধরনের পাপ কাজ খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে । নিজের চোখকে হেফাজতে রাখতে হবে নিজের হাতকে হেফাজতে রাখতে হবে নিজের গোটা দেহকে হেফাজতে রাখতে হব। যেন কোনো ভাবেই কোন খারাপ কাজে লিপ্ত না হয়।

সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আর বেশি বেশি রোজাদার ব্যক্তির ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি রোজা অবস্থায় দোয়া পাঠ করতে হবে কুরআন শরীফ পাঠ করতে হবে। একজন রোজাদার ব্যক্তি রোজা অবস্থায় থাকা শুধু না খেয়ে থাকা নয় তার অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।

আল্লাহতালা বলেছেন যে রোজা অবস্থায় যে ব্যক্তি আমার কাছে ক্ষমা চাইবে তাকে আমি ক্ষমা করে দেব। তাই আমরা রোজা অবস্থায় থাকা অবস্থায় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়বো দোয়া করব মাফ চাইব।

শরীর থেকে রক্ত বের হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়

রোজা ভাঙ্গনের সঠিক কারণ হচ্ছে স্বাভাবিক পদ দিয়ে শরীরের কিছু প্রবেশ করানো শরীর থেকে কিছু বের হলে রক্ত ভাঙ্গন হয় না তাই শরীর থেকে রক্ত বের হলে রোজা কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে কেউ যদি ইচ্ছা করে শরীর থেকে রক্ত বের করে তাহলে রোজা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আবার কেউ যদি রোজা অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে রক্ত দান করে তাহলে রোজার নষ্ট হয় না কারণ একটি জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে রক্ত দান করলে রোজার কোন ক্ষতি হয় না ।পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে যে মানুষ অন্য মানুষের জীবন রক্ষা করল সে পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করল ।তাই রোজা রেখে রক্তদান করার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নিষেধ নেই। নিঃসন্দেহে রক্ত দান করা ভালো কাজ।

শেষ কথা 

সুপ্রিয় পাঠক বিন্দু এই আর্টিকেলটি পরে আমরা রোজা অবস্থায় দাঁত ব্রাশ করা যাবে কি না। সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করলাম। রোজা অবস্থায় ওযু করার নিয়ম,  রোজা অবস্থায় ব্যক্তির করনীয় কি ।শরীর থেকে রক্ত বের হলে রোজা ভেঙ্গে যায় কিনা এ সম্বন্ধে অনেক কিছু জ্ঞান অর্জন করলাম ।তো আবারও কোন আর্টিকেলের সাথে দেখা হচ্ছে সে পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url