ফিচার ইমেজ তৈরির নিয়মাবলী বিস্তারিত জানুন

 

আপনারা জানেন যে একটি পোষ্টের জন্য ফিচার ইমেজ কতটা প্রয়োজনীয়। একটি ফিচার ইমেজ একটি পোষ্টের মূল কেন্দ্রবিন্দু। তাই আজকের এই পোস্টের মধ্যে আমরা ফিচার ইমেজ তৈরি সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব যে একটি ফিচার ইমেজ তৈরি করতে যা যা দরকার হয়। তো চলুন ফিচার ইমেজ তৈরি করা সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক।

ফিচার ইমেজ তৈরি

পোস্ট সূচিপত্রঃ 

কেন একটি ফিচার ইমেজ তৈরি করবেন?

একটি ফিচার ইমেজ তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ের উপরে পোস্ট লিখবেন । তো আপনাকে সেই পোষ্টটি লেখার পূর্বে ভালোভাবে বুঝতে হবে যে আপনি যে পোস্টটি লিখবেন আদৌ কি মানুষ সেই পোষ্টটি গুগলে সার্চ দেই।

 যদি আপনি বুঝতে পারেন যে হ্যাঁ মানুষ এই সমস্ত বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ দেয় এবং পড়ে।তখন আপনাকে সে পোস্ট অনুযায়ী একটি ফিচার ইমেজ তৈরি করতে হবে ।

কিভাবে একটি ফিচার ইমেজ তৈরি করা যায়?

প্রথমে আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। আপনি যে পোস্টটি লিখবেন এর ক্ষেত্রে একটি ফিচার ইমেজ কেমন হওয়া উচিত। তারপরে আপনি সেই অনুপাতে একটি ইমেজ নিবেন। এবং সেই ইমেজ টি দেখতে যেন সুন্দর হয়।

 আরো পড়ুনঃ ১৫ টি দেশি ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

মনে রাখবেন একটি পোষ্টের জন্য একটি ফিচার ইমেজ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ।আপনি যখন একটি পোস্ট লিখবেন সেই পোষ্টটি যেন সহজ এবং সুন্দর হয়। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনি যদি ভালো ফিচার ইমেজ তৈরি করতে না পারেন তাহলে আপনার পোস্টটি গুগোলে র‍্যাংক নাও করতে পারে। তাই আপনাকে এই সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

ফিচার ইমেজ টি কোথায় থেকে সংগ্রহ করবেন?

আপনি একটি ফিচার ইমেজ তৈরী করবেন কিন্তু আপনি ভালো ইমেজ পাচ্ছেন না। তো এখন কি করা যায়। আমরা এখন যেটা করতে পারি সেটা হল আমরা যে বিষয়ে পোস্ট লিখব সেই সম্পর্কে গুগোল এ সার্চ দিয়ে  ইমেজ সংগ্রহ করবো।

আরো পড়ুনঃ ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আপনি যেমন ইমেজ চাচ্ছেন এরকম অনেক ইমেজ গুগোলে  রয়েছে। আবার ইমেজ সংগ্রহ করতে গিয়ে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনি সকল ইমেজ ই ডাউনলোড দিয়ে আপনার পোস্টে পাবলিশ করতে পারবেন না। 

তার কারণ হলো ইমেজ যে ব্যাক্তি তৈরি করে লাইসেন্সপ্রাপ্ত করে রেখেছে সে আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলাও করে দিতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই (Creative commons licenses) এর আন্ডারের ইমেজ হতে হবে।

গুগল থেকে কেমন ইমেজ নিতে হবে/ লাইসেন্সপ্রাপ্ত না লাইসেন্স বিহীন?

আপনি গুগল থেকে যেভাবে একটি ইমেজ সংগ্রহ করবেন। তা হলো আপনি যে ইমেজটা খুঁজছেন তা প্রথমত গুগল এ সার্চ দিন। তারপরে আপনি একটি ইমেজ সেকশন এর মধ্যে আসবেন। এখানে আসার পরে আপনাকে (Tools) এ ক্লিক করতে হবে তারপরে নিচে একটি লাইন আসবে সেখানে লেখা থাকবে (usage Rights) আবার সেখানে ক্লিক করতে হবে।

 আরো পড়ুনঃ চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন 

তারপরে একটি ছকের মধ্যে দেয়া থাকবে (Creative commons licenses) এবার এখানে  ক্লিক করতে হবে এবার এখান থেকে আপনার পছন্দের ইমেজটি নিশ্চয়ন করতে হবে।

 তারপর আপনাকে যা করতে হবে তাহলো ওই ইমেজটির (size) বড় করে দেখে নিতে হবে। যে সেটি jpg, বা jpeg ইমেজ কি না। তারপরে আপনাকে ইমেজটি ডাউনলোড দিতে হবে।

 আপনার ডেক্সটপে বা ল্যাপটপে আপনার ইচ্ছামত যেকোনো জায়গায় সেভ করে রাখতে পারেন। তারপরে সেই ইমেজটি আপনার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে যে ফটোশপ রয়েছে সেখানে এডিট করতে হবে।

ফটোশপে এডিট করার নিয়ম

প্রথমে আপনি আপনার কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে ফটোশপ টা ইন্সটল করে নিন। তারপর ফটোশপ টা ওপেন করুন। ওপেন করার পরে যদি আপনার ফটোশপটি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে সেটি একদম ব্ল্যাংক হয়ে থাকবে।



                                               blank page

ঐ ব্ল্যাংক পেজের উপরের দিকে দেখতে পাব যে (File) নামে সেকশন রয়েছে এখানে ক্লিক করে (Open) করবেন। ওপেন করার পরে দেখতে পাবেন যে আপনার পছন্দের ইমেজ টি রয়েছে। তখন সেই ইমেজ টি (Select) করতে হবে। তারপর আপনার ডাউনলোডকৃত ইমেজটি এডিট করতে হবে।

এডিটকৃত ফিচার ইমেজ তৈরীর জন্য (Move Tools) এর ব্যবহার?


                                       Move Tools

আপনার পোষ্টের জন্য এবার একটি সুন্দর ফিচার ইমেজ তৈরি করুন। (Move Tools) দিয়ে ফিচার ইমেজ তৈরী করবেন যেভাবে। ইমেজ তৈরীর প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে (File) নামের এই সেকশনে ক্লিক করার পর আপনি দেখতে পাবেন যে (Open) এই অপশনটি আসবে। তারপরে সেখানে ক্লিক করলে আপনার ইমেজটি ফটোশপে ওপেন হয়ে যাবে।

 এবার আপনি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর বাম দিকে লক্ষ্য করবেন যে এডিট করার জন্য আপনার ফটোশপে সবগুলো (Tools) চলে এসেছে।তখন আপনাকে যা করতে হবে।

তা হলো ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ এর ডান দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন যে সেখানে ইমেজটির উপর একটি তালা ঝুলানো আছে। তখন আপনাকে সেই তালাটি খুলে দিতে হবে।

 তারপর আপনাকে যা করতে হবে তা হল প্রথমে দেখতে পাবেন যে একটি (Move Tools) নামে সেকশন রয়েছে। এই (Move Tools) দিয়ে একটি ইমেজকে নড়াচড়া করাতে পারবেন । এখন (Move Tools) থাকা অবস্থায় নতুন ইমেজটিকে মাউস পয়েন্টার দিয়ে পূর্বের ইমেজের উপর নিয়ে যান।

 এখন পূর্বের ফিচার ইমেজ টি ডিলিট করে দিন।এবার নতুন ইমেজটিকে ইচ্ছামতো এডিট করুন। আবার আপনি এই ফিচার ইমেজটিকে ছোট-বড় করে আপনার ইচ্ছানুযায়ী সাজাতে পারেন।

এডিট কৃত ফিচার ইমেজ তৈরীর জন্য (Text tools) এর ব্যবহার?


                                                  Text tools

টেক্সট টুলস দিয়ে এডিট কৃত ইমেজের উপর আমরা খুব সুন্দর ভাবে আগের ইমেজের লেখাগুলোকে ডিলিট করে নতুন লেখা লিখতে পারি।

 তারপর এই পোষ্ট সম্পর্কে বর্ননা দিতে হবে যেন ফিচার ইমেজ টি দেখতে ভালো লাগে তবে আপনাকে লেখার জন্য T নামক চিহ্নে (Horizontal type tools) সিলেক্ট থাকা অবস্থায় আপনাকে লিখতে হবে। তারপর আপনাকে ফিচার ইমেজ এর কালার চেঞ্জ করতে হবে।

 সর্বশেষ কথা

আমরা সকলেই চাই যে আমাদের পোস্টটি সবার চাইতে সুন্দর হোক তাই না। তাহলে আমাদেরকে আমাদের পোস্টটি সুন্দর করতে হলে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। 

মনে রাখবেন যদি কাজ না করেন তাহলে কখনোই সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আপনার পোস্ট এবং পোস্টের ভিতরে ফিচার ইমেজ টা অনেক সুন্দর হতে হবে।

সুপ্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আমাদের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের কাছে শেয়ার করুন। এবং এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদেরকে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url