অনলাইন ইনকাম (online income) এর আবির্ভাব। অনলাইন আয় এর সেরা ১০ টি উপায়

 বন্ধুরা আপনারা যারা এই ডিজিটাল সময় এসে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র তাদের জন্য। আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে অনলাইন ইনকাম (online income) সম্বন্ধে। বর্তমানে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ অনলাইন ইনকামের (online income) মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে।তো বন্ধুরা চলুন তাহলে আর দেরি না করে এবার আমরা অনলাইন ইনকাম ও অনলাইন আয় এর সেরা ১০ টি উপায় জেনে নেই 

অনলাইন ইনকাম

পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকাঃ অনলাইন আয় এর সেরা ১০ টি উপায়

বর্তমানে প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করে চলে। মানুষের এই প্রযুক্তি ও অনলাইনে নির্ভর মানসিকতা ইন্টারনেটে ইনকামের অনেক দার উন্মোচন করে দিয়েছে। খুব সহজেই মানুষ ভালো একটা পরিবারের অর্থ উপার্জন করতে পারে এই অনলাইন থেকে। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন এই অনলাইন ইনকামের (online income) উপরে নির্ভর করে চলে চাইলেই তারা খুব সহজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনিও ইনকাম করতে পারেন আপনি কি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে আপনার জন্যই আমাদের আজকের এই আর্টিকেল।

অনলাইন ইনকাম (online income) এর আবির্ভাব (start on online income)

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার বিষয়টি প্রায় আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে যতটা কঠিন ছিল এখন কিন্তু তার থেকে অনেক সহজ হয়েছে। যেমন হাঁটি হাঁটি ফাঁপা করে এগোচ্ছে আমাদের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ। তবে আমাদের এই প্রাণপ্রিয় দেশের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আজ থেকে 10 বছর আগে অনলাইনে ইনকাম করার বিষয়টি কিন্তু মোটেও সহজ ছিল না ও কেউ ভাবতো না। কিন্তু সেই স্বপ্ন আজকে সত্যিই হচ্ছে অনলাইন থেকে বর্তমানে মানুষ শুধু অনলাইনে ইনকামেই নয়, বরং এই ইনকাম দিয়ে তারা সচ্ছলতার সাথে তাদের পরিবার নিয়ে জীবন যাপন করছে। 

আধুনিকি বিশ্বে এখন অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, থেকে শুরু করে প্রায় সকল ক্ষেত্রে অধিকাংশ কাজ অনলাইন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে আগে আপনি যদি কোন একটা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য আবেদন করতে চাইতেন তাহলে সেটি আপনাকে নিজে এসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরম তুলে নিয়ে পূরণ করতে হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি নির্ভর এই দেশে এখন অনলাইনের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ফরম পূরণ করতে পারেন চাকরি আবেদনের ক্ষেত্রেও এই বিষয়েই এখন চলছে। 

এসব বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন কাজ অনলাইন সম্পাদনের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এ কাজ করার জন্য শুধু আপনার প্রয়োজন একটি ডিজিটাল ডিভাইস (digital device) । এখানে এটা গ্যারান্টি দিতে পারব না যে আপনি শুরুতেই লক্ষ লক্ষ টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন তবে আপনার ধৈর্য থাকতে হবে এবং আপনাকে যে গাছ থেকে আপনি ইনকাম করতে চান সেই কাজে পারদর্শী হয়ে উঠতে হবে এবং আপনাকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অনলাইন থেকে বড় পরিমাণ অর্থ আপনি প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারেন।

কিভাবে আপনি অনলাইনে ইনকাম করবেন (How to online income-online income app)

বাংলাদেশে অনলাইন ইনকামের বিষয়টি আমাদের নতুন সমাজের কাছে নতুন একটি বিষয় মনে হলেও এটি কিন্তু সারা পৃথিবীতে অনেক আগে থেকেই চালু হয়ে গেছে সত্যি কথা বলতে ঘরে বসে যদি আপনি স্বাধীনভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার একটি সুযোগ কিন্তু খুব কম পেশায় এটি পাওয়া যায়। তাছাড়া অনলাইন ইনকামের জন্য আপনার বিশেষ কোন কিছুই প্রয়োজন হয় না যেটা প্রয়োজন হয় সেটা হল আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই কোন কাজে দক্ষ হয়ে আপনি অনলাইন থেকে নিয়মিত ইনকাম করতে পারেন। 

আপনি ছেলে হন বা মেয়ে হন, ছাত্র, চাকরিজীবী ইত্যাদি যাই হোন না কেন আপনি এই সেক্টর থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পড়ালেখার পাশাপাশি আপনি নিজের পরিবারকেও আপনি এখান থেকে কিছু দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারবেন। প্রতিদিন অনেক সময় তো আপনারা facebook, youtube, twitter ইত্যাদিতে সময় ব্যয় করেন চাইলে এই সময় গুলো শুধু চ্যাটিং করে নষ্ট না করে আপনার অনলাইন থেকে ইনকাম এর পেছনে লাগাতে পারেন। 

এছাড়া পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে আপনি অবসর সময়ে যদি এ কাজগুলো করে থাকেন দেখবেন আপনার সময় নষ্ট হচ্ছে না। পাশাপাশি আপনার ইনকাম ও হচ্ছে। আর আপনি যদি নিজের খরচ নিজেই জোগাড় করেন তাহলে আপনার নিজের ভেতরে অন্যরকম একটা ফিলিংস কাজ করবে যা আপনার ভালো লাগবে। তাই অবশ্যই আপনি চেষ্টা করুন এই অনলাইন ইনকামের পেছনে ঢোকার। অনলাইন থেকে ইনকাম করতে আপনার শুধুমাত্র প্রয়োজন হবে একটি ডিজিটাল ডিভাইস (Digital device) যেমন সেটি ল্যাপটপ,ডেক্সটপ বা ট্যাব এমন কি আপনার হাতের স্মার্টফোনও হতে পারে। সেই সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। 

অনলাইন আয় এর সেরা ১০ টি উপায়।(Online income idea-Best online income in Bangladesh-free online income site)

বন্ধুরা, অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে কেই বা না চায় সবার ইচ্ছে থাকে অনলাইন থেকে কিছু টাকা ইনকাম করার অনলাইন এই ইনকামের কিন্তু অনেক সোর্স রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে ভালো বা খারাপ আছে সেটা আপনাকে নিজে থেকেই বাছাই করতে হবে। আমরা আজকের এই পোস্টে এমন দশটি অনলাইন ইনকামের উপায় সম্পর্কে জানাবো যেগুলো থেকে আপনি অনেকটা নিশ্চিন্তে আয় করতে পারবেন একই রকম ভাবে স্বচ্ছলভাবে আয় করতে পারবেন বর্তমানে বাংলাদেশে অসংখ্য মাধ্যম রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন এর মধ্যে সেরা ১০ টি উপায় সম্পর্কে নিচের বিস্তারিত বলা হলোঃ

১। ব্লগিং করে আয় (blogging)। Online income Bangla-Top 10 online income idea 💡💡 

ব্লগিং করে অনলাইন আয় হল বেশ পুরাতন একটি উপায় এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো অংকের একটা ইনকাম করা সম্ভব। এটি মূলত বলা যায় একটি ডিজিটাল নিউজ পেপারের মত আপনি আপনার মন মত যে কোন একটি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবেন যার ওই বিষয়টি জানার দরকার হবে সে এসে পড়ে যাবে। আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটাও কিন্তু একটি ব্লগ। অতএব বুঝতে পারছেন আসলে ব্লগিং বিষয়টা কি? লেখালেখি যদি আপনার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার যেকোনো বিষয়ে যদি জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বেশি থাকে সেই বিষয় নিয়ে আপনি ব্লগিং করে আপনার সময়টাকে বেশি কাজে লাগাতে পারেন। তাই আপনি যে বিষয়ে বেশি পারদর্শী সেটিকে বলা হয় একেকটি নিশ(Nish)। এবং অনলাইনের ভাষায় দুইটা নিস থাকে একটি হল এক্সাক্ট নিশ(exact nishe) ও অপরটি হল রেনডম নিশ (random nishe)। এক্সাক্ট নিস হল যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে আপনাকে লেখালেখি করতে হবে। আর র‍্যান্ডম নিস হলো আপনি যেকোন বিষয় নিয়ে অনলাইনে লেখালেখি করতে পারেন। নিস বলতে মূলত নির্দিষ্ট কিছু বিভাগকে বোঝায় যেমন খেলাধুলা, টেকনোলজি, রান্নাবান্না, নিজের জীবনী, ভ্রমণ ইত্যাদি উদাহরণস্বর বলা যায় যে আপনি যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করে সেখানে আপনার কোন কোন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ এবং অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেটি আপনি ব্লগের মাধ্যমে লিখে জানাতে পারেন। 

এখন মূল বিষয় হলো আপনি কোথায় লেখালেখি করবেন এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো উপায় হল আপনি যদি একটি ব্লক সাইট বানাতে পারেন এখন অনেক সহজে কোন খরচ ছাড়াই ব্লগ সাইট বানানো সম্ভব তবে ফ্রি সাইটগুলোতে মানুষ খুব একটা বিশ্বাস করে না। তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনাদেরকে যে প্রথমে অল্প কিছু সংখ্যক টাকা পয়সা খরচ করে ডোমেন-হোস্টিং কিনে একটি খুব সুন্দর আকর্ষণীয় ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন এরপর সেখানে আপনি লেখালেখি শুরু করতে পারেন। 

যদি আপনি একটি ডটকম ডোমেইন কিনেন এবং 1 জিবি হোস্টিং এবং একটি ফ্রি থিম এই তিনটা জিনিস আপনার ব্লগিং করার জন্য প্রয়োজন হবে এক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৩০০০-৪০০০ টাকার মত। এইভাবে খরচ করে যদি আপনি ব্লগিং করেন তাহলে আপনার ইনকাম টা ভালো পরিমাণে হবে এবং ফ্রি সাইটের তুলনায় অনেক বেশি আর ভবিষ্যতে আপনার এ সকল সাইটের দাম অনেক বেশিও হতে পারে ক্ষেত্রবিশেষ এক একটা সাইটের মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

আর ফ্রি সাইটগুলো ক্ষেত্রে আপনাকে পুরোপুরি ডোমেন কিন্তু গুগল থেকে দিবে না আপনি সে ক্ষেত্রে পাবেন সাবডোমেন এভাবে ব্লগ সাইট খোলার ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ব্লগে স্পট দিয়ে কয়েক মিনিটে একটি ব্লক সাইট খুলতে পারেন। আর এক্ষেত্রে আপনি মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন তাই যারা মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য এটি একটি সেরা সুযোগ হতে পারে। তবে এত কিছুর পাশাপাশি আপনাদের যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি কিছু ধারণা থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি কিন্তু আপনার ইনকামের পরিমাণ বহুবনে বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন। 

২। ফ্রিল্যান্সিং করে আয়। Online income site-Top 10 online income idea

অনলাইনে যে পদ্ধতিতে সব থেকে মানুষ বেশি রোজগার করে সেটি হল ফ্রিল্যান্সিং। বাংলাদেশের বেকারত্ব কমাতে এই খাতটি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে আসছে এবং সাথে সাথে অনেক দক্ষ জনবল তৈরি করতে আমাদের দেশকে বিশ্বের কাছে রিপ্রেজেন্ট করছে। পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে একটি নিদারণ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছে আসলে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের মানুষের জানতো না যে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ বলে কোন একটা দেশ রয়েছে সেসব মানুষের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করছে আমাদের ফ্রিল্যান্সারগন। 

সাথে সাথে প্রতি মাসে আমাদের দেশে রেমিটেন্সে ভুক্ত হচ্ছে মিলিয়ন মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফ্রিল্যান্সিং এ যোগদান করে আপনি টাকা আয় করার পাশাপাশি এই গৌরবেরও অংশীদারীতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এখানে আপনার কাজ করার এবং আপনার যে ইমপ্লয়ার (employee) তার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নাই আপনি ঘরে বসেই আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশের সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকবে। সবার প্রথমে আপনাকে আপনার প্রয়োজন হবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি দক্ষতা অর্জন করা যেমন সেটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (graphics design) হতে পারে ফটো এডিটিং (photo editing) এবং ওয়েব ডিজাইন (web design) ওয়েবসাইট মেকিং (website making) কপিরাইট (copyright) কনটেন্ট রাইটিং (content writing) লোগো ডিজাইন (logo design) ইত্যাদি। 

এই সকল কাজগুলোর মধ্যে আপনি যেকোনো একটিভ হতে দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি হতে পারেন একজন ফ্রিল্যান্সার আপনি যদি একাধিক কাজ করতে পারেন সেখানে আপনার বেশি টাকা ইনকামের সুযোগ ও কিন্তু বেশি। কাজ শেখার পর আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং যে সকল সাইট রয়েছে যেমন ফ্রিল্যান্সার (freelancer) আপওয়ারক (upwork), ফাইবার (fiver), পিপল পার আওয়ার (people per our), গুরু (guru) ইত্যাদি। এ সকল সাইটে আপনার তথ্য দিয়ে একাউন্ট করতে হবে এর পরে আপনি কোন কোন কাজে দক্ষতা সম্পন্ন সেই কাজগুলো এই সাইট থেকে মেনশন দিয়ে নিতে হবে। 

তবে একটা বিষয় অবশ্যই আপনার মাথায় রাখতে হবে বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম সাইট কিন্তু অনেক আছে কিন্তু সেগুলোর মধ্যে ভালো মানের সাইট কিন্তু খুব কম তাই যে কোন যেকোনো ওয়েবসাইটে কাজ শুরুর পূর্বে আপনার উচিত সে সাইটটিকে ভালোভাবে দেখে নেওয়া এবং যদি সবকিছু দেখে নেওয়া শেষে আপনার কাছে ভালো বলে মনে হয় তাহলে আপনি সেই সাইডে কাজ করতে পারেন। তারপর আপনি যে কাজ এ দক্ষতা সম্পন্ন তার প্রমাণের জন্য আপনার পূর্বে সম্পাদিত যেকোনো পোর্টফোলিও আকারে ওই ওয়েবসাইটের সাজিয়ে রাখতে হবে। 

এতে করে আপনার ক্লায়েন্ট এসে আপনার পোর্টফলিও দেখে যেন আপনাকে কাজ দিতে উৎসাহিত হয়। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে অবশ্যই আপনার উচিত একটি ভাল পোর্টফলিও তৈরি করা কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুনরা ওই পোর্টফোলিগুলোই আপনাকে কাজ পেতে সহায়তা করবে। প্রথম প্রথম যদি আপনার কাজ পেতে অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে আপনার পরিচিত কেউ যদি ফ্রিল্যান্সার থাকে তাহলে তার রেফারেন্সে আপনি কাজ নিতে পারেন। 

রেফারেন্স এর মাধ্যমে কাজ পেয়ে আপনার প্রথম ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে ভালো একটা রিভিউ প্রদান করবে তখন দেখবেন আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে এবং কাজ আসতেই থাকবে। তাছাড়াও প্রথমে গিয়ে বিভিন্ন কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন ওখান থেকেও ক্লায়েন্ট পেতে পারেন আমাদের মতে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে প্রথম কাজ পাওয়াটা খুবই কঠিন ও দুষ্কর হয়ে ওঠে এতে অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ না পেয়ে ধৈর্য হারিয়ে কাজ করা ছেড়ে দেয়।

৩। ইউটিউবিং করে আয়। Online income on YouTube-Top 10 online income idea

বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছে এদের কারো কারো মাসিক আয় 40 থেকে 50 লক্ষ টাকা আপনিও কিন্তু চাইলে ইউটিউবে বিভিন্ন রকম কনটেন্ট বা ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন। এই ভিডিও বানাতে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ক্যামেরা তবে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও যদি আপনার মোবাইল ফোন থাকে তাহলে আপনি সেটি দিয়েও ভিডিও করে ইউটিউবে যাত্রা শুরু করতে পারেন তারপরে সফল হওয়ার পরে আপনার প্রয়োজন হবে একটি দামি গ্যাজেট এর ব্যবহার। 

তবে আপনার কনটেন্ট যদি ভালো থেকে থাকে এবং আপনি আপনার প্রয়োজনীয় যে সকল বিষয়গুলো মানুষের প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন তাহলে আপনি অতি দ্রুতই বেশি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ছোট্ট একটি টিপস মাথায় রাখতে হবে। আপনার যদি সত্যি প্রফেশনাল ভাবে ইউটিউবে কাজ করতে চান তাহলে ভিডিও, অডিও ও ভিডিও এডিটিং এ কাজগুলো খুব ভালোভাবে শিখতে হবে। 

তারপরে সর্বনিম্ন আপনি ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং নূন্যতম ভিউয়ার্স টাইম পরিপূর্ণ হয়ে গেলে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারেন তারপরে প্রতিটা ভিডিওতে মনিটাইজেশন এক্টিভেট করে নিলে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। তাছাড়াও বর্তমানে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে স্পন্সরের মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন দেখা গেল আপনি কোন একটি কোম্পানির পনির মার্কেটিং এর জন্য আপনার ভিডিওতে তার ওই পন্যের বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য বললেন আপনি ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিতে সম্মতি প্রকাশ করলে আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী এসে পে করতে বাধ্য থাকবে।

৪। ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম-online income for watching video-Top 10 online income idea

ভিডিও দেখে যে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় এ বিষয়টি হয়তো অনেকেই জানেন না। সত্যি কথা বলতে আসলে অনলাইন থেকে ভিডিও দেখে ইনকাম করার বিষয়টি অনেকের কাছেই অবাক লাগতেই পারে তবে ঘটনাটি সত্য বর্তমানে এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনাকে প্রতিদিন ভিডিও দেখার জন্য পেমেন্ট করা হয়ে থাকে। তবে মনে রাখবেন অনলাইনে ভিডিও দেখে ইনকাম করার মতো স্ক্যাম বা ভুয়া সাইটও কিন্তু রয়েছে যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখে পরবর্তীতে কোন পেমেন্ট করবে না এ ধরনের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন জগতে সব সময় সতর্কতার সহিত থাকতে হবে। 

সাধারণত এই সকল ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় মূলক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে এবং আপনাকে চেষ্টা করবে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে ভিডিও দেখানোর আর আয় করার ফাঁদে ফেলার একটা বিষয় মাথায় রাখবেন অনলাইনে কখনো কোন ওয়েবসাইট আপনাকে ভিডিও দেখে খুব বেশি পেমেন্ট করতে চাইবে না। যখন দেখবেন কোন ওয়েবসাইট মাত্রাতিরিক্তভাবে পেমেন্ট করার কথা বলছে তখনই বুঝবেন যে এটি একটি আকর্ষণীয় মূলক বিজ্ঞাপনের কথা বলে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকতে বলছে এবং সত্যিকার অর্থেই আসল বলে মনে হয় তখনই আপনি তাদের কাজ শুরু করতে পারেন অন্যথায় নয়।

৫। ওয়েবসাইট বানিয়ে আয়। Bangladesh online income website-Top 10 online income idea

বন্ধুরা আমরা এ কথাটি পড়বে বলেছি এখনও বলছি যে একটি ভালো ওয়েবসাইটের দাম প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা হতে পারে আপনি চাইলে এরকম ওয়েবসাইট নিজে থেকেই বানাতে পারেন এবং সেটি সচল করে অনেক বেশি দামে বা চড়া দামে বিক্রি করতে পারেন ওয়েবসাইট বানানো বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মত সহজ। যেকোনো ব্যক্তি এটা চাইলে কিন্তু করতে পারে। কিন্তু যে সাইটগুলো খুব সহজে অতি দ্রুত বানানো যায় সেগুলোর তেমন কোন বাজারে চাহিদা থাকে না তবে আপনারা সাইডে যদি পরিমিত পরিমাণ ট্রাফিক বা ভিজিট থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ভাল দাম পেতে পারেন যে সাইটগুলো বেশি দামে বিক্রি হয় সেগুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনের দ্বারা তৈরিকৃত। 

আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন অথবা ওয়েব ডিজাইন ইন শিখতে পারেন তাহলে আপনি নিজে ভালো একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে কন্টেন্ট বা পোস্ট বা আর্টিকেল আপলোড করে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। আপনি চাইলে youtube থেকে অহরহ ভিডিও রয়েছে সেখানকার ফ্রিতে ভিডিওগুলো দেখে ভালো কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডিজাইন কোর্স করেও শিখতে পারেন। 

ওয়েব ডিজাইন অনেক ক্ষেত্রে নতুন সাইটও কিন্তু বিক্রি করা যায় যদি আপনার হাতে তেমন কোন ক্লায়েন্ট থাকে আর এই কাজের একটি ভালো দিক হলো আপনি যদি এই কাজে একবার দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপক পরিমাণে কাজ আসবে এবং চাকরি জীবনেও এর অভিজ্ঞতা অনেক প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে।

৬। ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে আয়। How to earning of drop shipping-Top 10 online income idea

বন্ধুরা ড্রপ শিপিং অনলাইন ব্যবসার অন্তর্গত একটি কাজ যার মাধ্যমে খুব সহজেই বিপুল পরিমাণে টাকা পয়সা ইনকাম করা সম্ভব চলুন এবার না হলে আমরা প্রথমেই জেনে আসি যে আসলে ড্রপ শিপিং টা কি? এটার একটি উদাহরণ দিলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ মনে করেন আপনি আপনার এলাকার পরিচিত কোন এক ব্যক্তির পণ্য তৈরি করে সেটা বাজারে এক হাজার টাকায় বিক্রি করে। 

আপনি খোঁজ নিয়ে দেখলেন যে এই পণ্যটি শহরে বড় বড় মার্কেটে অথবা কোন ই-কমার্স সাইডে 2000 টাকায় বিক্রি হচ্ছে এরকম কিন্তু সচরাচর আমাদের দেশে হতে চলেছে কোন একটা সবজি কৃষকদের থেকে পাঁচ টাকা কেজি মরলে কিনে বড় বড় বাজারে বিক্রয় করা হয় 40 থেকে 50 টাকা কেজি করে। তো এক্ষেত্রে আপনি নিজেই বড় একটি ই-কমার্স প্রোফাইল খুলে ওই পণ্যটি বিক্রয় করতে পারেন। 

আপনি যেহেতু আপনার এলাকার যে উৎপাদনকারী রয়েছে তার কাছ থেকে পণ্যটা এক হাজার টাকায় ক্রয় করে সেটি আপনার প্রোফাইলে আপনার ই-কমার্স সাইটে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রয় করতে পারবেন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পরিমাণে লাভ হবে ১৪০০ টাকায় বিক্রয় করেন তাহলে আপনার সে ক্ষেত্রে লাভ হবে মাত্র ৪০০ টাকা এটি মূলত ড্রপ শিপিং আপনার এলাকায় যদি এরকম কোন সুযোগ থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই সেই সুযোগটিকে কাজে লাগাতে পারেন।

৭। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। How to earning of affiliate marketing-Top 10 online income idea

বন্ধুরা এবার আমরা চলে আসলাম এফিলিয়েট মার্কেটিং হল বর্তমান বিশ্বে অনেক জনপ্রিয় একটি অর্থ উপার্জনের মাধ্যম বাংলাদেশের আস্তে আস্তে এফিলিয়েট মার্কেটার এর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি হতে চলেছে। এটি অনেক সহজ একটি মাধ্যম কিন্তু সাধারণ মানুষের অনেকেরই এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন ধারণা থাকার কারণে এ কাজে তেমন কোন আগ্রহ প্রকাশ করে না আসুন তাহলে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টা জেনে নিন। 

বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ই কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে এদের মধ্যে অনেকগুলো সারা বিশ্বেই পণ্য পরিবহন করে থাকে এ সমস্ত ই-কমার্স সাইডে প্রত্যেকটাতে এফিলিয়েট মার্কেটিং নামে একটি সেকশন রয়েছে। আপনি সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের মেম্বার হতে পারেন তারপর আপনার একটা গ্রুপ তৈরি করতে হবে এবং আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে এরকম একটি গ্রুপে মানুষের রয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া। 

এখন ওই নির্দিষ্ট ই কমার্স স্যারের থেকে আপনি বিভিন্ন পণ্যের বিবরণ সহ ওই লিংক কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন এবার ওখানে থেকে ওই লিংকে ক্লিক করে যদি কেউ পণ্যটি ক্রয় করে তাহলে আপনি সেটার থেকে কিছু পরিমাণে কমিশন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার কমিশনের জন্য কিন্তু পণ্যটির দাম বাড়বে না পণ্যটি আসলে যে দাম সে দাম দিয়ে মানুষ কিনতে পারবে কিন্তু আপনার পাঠানো লিংক থেকে। 

তবে এ ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এফিলেট মার্কেটিং এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে। এভাবে অনেক টাকায় ইনকাম করা সম্ভব হয় যদি আপনি ভাল একটি কমেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি এখান থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন এর জন্য আপনার দরকার হবে অনেকগুলো একটিভ ইমেইল। আপনি যদি ১০০০ এর মত একটিভ হিমেল জোগাড় করতে পারেন তাহলে আপনি সেখান থেকে ভালো পরিমাণের একটা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সেটা হল amazon affiliation program

৮। অনলাইনে কোচিং করিয়ে আয়। How to earning of online coaching-Bangladesh online income-Top 10 online income idea

বন্ধুরা আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষকে আমরা দেখতে পাই যারা বাড়ি গিয়ে গিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন এভাবে পরিয়ে প্রতি মাসে অনেকে ৫০ হাজার টাকার মতো আয় উপার্জন করে থাকেন কিন্তু এভাবে বাসায় গিয়ে পড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় ও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। অন্যদিকে কোচিং সেন্টারে জায়গায় জোগাড় করাও বেশ কষ্টসাধ্য হয় এক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশের যে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সেটি হল অনলাইন টিচার কনসেপ্ট বা অনলাইনে কোচিং করিয়ে ইনকাম। 

আপনি চাইলে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে অনেকগুলো ছাত্রকে একত্র করে পড়াশোনা করিয়ে বেশ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি যেন অবাক হতে পারেন যে বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৫০% শিক্ষকই অনলাইনে শিক্ষা প্রদান করছেন। তবে আমাদের পাশের দেশ ভারতেও কিন্তু এ বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বর্তমান আমাদের দেশেও এরকম বেশ কিছু প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো থেকে অনলাইনে পড়ানো যায়। 

এর মধ্যে যেমন একটি হল 10 minute school  এটি কিন্তু অন্যতম আপনি তাদের থেকে অনেক ধরনের নিতে পারেন প্রথমে হয়তো বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে পারেন ছাত্র খোঁজ নিয়ে আপনাদের বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে কিন্তু পরবর্তীতে সেটি থেকে আপনারা সুবিধা পেতে পারেন।

৯। ছবি বিক্রি করে আয়। How to earning selling photo-Top 10 online income idea

বন্ধুরা আমাদের বর্তমান জেনারেশনে স্মার্টফোন নেই এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু খুবই কম অনেকের কাছে আবার বিভিন্ন ধরনের বা বিভিন্ন রকমের ক্যামেরাও রয়েছে আপনি চাইলে আপনার হাতের সেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও কিন্তু অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসের বা বস্তুর ছবি তুলতে হবে সেটা আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তুলতে পারেন অথবা আপনার ক্যামেরার মাধ্যমে তুলতে পারেন তারপর চাইলে আপনি একটু এডিটিং করে "র" ফাইল বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে সেখান থেকে আপনি একটি ছবির জন্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত করতে পারেন। 

আপনি যদি অল্পসল্প ফটো এডিটিং জানেন তাহলেও এ কাজটি আপনার জন্য সুবিধা মত হয়ে উঠবে যেমন Photoshop illustrator ইত্যাদির মাধ্যমেও কিন্তু ছবি আকর্ষণীয়তা বাড়ানো যায়। অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন তন্মধ্যে shutterstock,500 pixel, envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এবং সব থেকে বেশি পে করে থাকে বর্তমান ফটোগ্রাফদের কে। 

ইন্ডিয়ার সন্দীপ মহাশয়ের কথা অনেকেই শুনেছেন এখন প্রত্যেকটা টেকনোলজি বিষয়ক সেমিনার বা স্টেট হতে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে থাকেন তিনি অন্যতম উদাহরণ যে ফটোগ্রাফিকে নিজের পেশা হিসেবে বানিয়ে নিয়েছেন। সেক্টরে তিনি ভীষণই একজন সফল মানুষ তার নিজেরও ছবি ব্যক্তির একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে দেশ ও বিদেশী এক হাজারেরও বেশি ফটোগ্রাফার নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। আপনি এ সমস্ত ওয়েবসাইটগুলো থেকে ছবিগুলো বিক্রি করে আবার এই ওয়েবসাইট থেকেও বিভিন্ন মানুষ ক্রয় করে থাকে এই সমস্ত ছবি গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বিভিন্ন বইয়ের কাভার, ব্যানার,ফেস্টুন এ সমস্ত ছবি ব্যবহার করা হয়।

১০। অনলাইন সার্ভে করে আয়। Top 10 online income idea

বন্ধুরা অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভে এর আয়োজন করে থাকে। অনেক দেশেই সরকারিভাবে বিভিন্ন আয়োজন করা থাকে দেশের সার্বিক অবস্থায় দেশের জনগণের কত সন্তুষ্ট এটা জানার জন্য কিন্তু সরকার এই সমস্ত সার্বিকগুলো আয়োজন করে থাকে তাই বড় বড় কোম্পানিগুলোই বেশিরভাগ অনলাইনে সার্ভিস ব্যবস্থা করে থাকে। 

এ সমস্ত সার্ভের সাধারণত পেইড হয়ে থাকে আপনি চাইলেই এসব সার্ভে করে প্রতিমাসে ভালো অংকের একটা টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন বড় বড় কোম্পানিগুলো তো একটি সার্ভিসের জন্য ১০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করে থাকে এ সমস্ত সার্ভিস গুলো নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এর জন্য আপনাকে প্রথমে নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে তারপর আপনার সমস্ত ইনফরমেশন দিয়ে একাউন্টটি আপডেট করে নিয়ে আপনাকে কাজ শুরু করতে হবে তবে প্রতিটি সার্ভেতে আপনি কোয়ালিফাই করতে পারবেন না শুধুমাত্র যে সার্ভারগুলো আপনার একাউন্টে দেওয়া তথ্যের সাথে মিলবে সেগুলোই কেবল আপনি করতে পারবেন।

১১। অনলাইন রিসেলিং করে আয়।Top 10 online income idea

বন্ধুরা অনলাইনে পণ্য ব্যক্তি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে  উঠেছে। আপনি চাইলেই এটি থেকে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনাকে সেই সাথে আপনার আরো অনেক দিক দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে যে যেটা ছাত্র জীবনে করা একটি কষ্টকর হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি অনলাইন রিসেলিং (Online reselling) করে বেশ ভালো পরিমানে টাকা পয়সা ইনকাম করতে পারেন. 

অনলাইন রিসেলিং মূলত অনলাইনে পন্য দেখেই কাজ কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে বেশি কিছু করা লাগবে না যেটি করতে হবে সেটি হল আপনি শুধু একটি সেলিং কোম্পানিতে আপনার একাউন্ট খুলবেন। এবং এখান থেকে পণ্যের ছবি এবং বিবরণ দিয়ে একটি পেজ খুলে সেখানে সে পণ্যটি বিক্রয় করতে হবে। রিসনিং কোম্পানির কাছে অনেক কম দামে পণ্য পাবেন আর ওইগুলো তার থেকে সামান্য বেশি দাম দিয়ে আপনি বিক্রি করে নিজের লাভ বের করতে পারবেন। 

বেশি কিছু রেসিলিং কোম্পানি বাংলাদেশে রয়েছে এর মধ্যে রয়েছে অন্যতম হলো shop up। এখান থেকে আপনি প্রণব বিক্রয় করার জন্য নিজের কোন পণ্য লাগবে না পণ্য যোগাড় থেকে শুরু করে বাকি সব কাজে ওই রেসেলার কোম্পানি করে থাকবে।

অনলাইন ইনকাম ও বিকাশে পেমেন্ট। Online income bd payment bkash-Top 10 online income idea

বন্ধুরা একটা বিষয় সম্পর্কে আপনাদের নির্দিষ্ট ধারণা থাকতে হবে অনলাইন ইনকাম করে বিকাশে টাকা আনার ব্যাপারে আপনাদের অনেকেরই মনে অনেকগুলো প্রশ্ন থেকে যে অনলাইনে আয় কিন্তু টাকা কি সরাসরি বিকাশে আমার কোন উপায় রয়েছে? একবার সহজ করে যদি এক কথায় এটির উত্তর দিতে চায় তাহলে এটার উত্তর হবে "না" আপনি অনলাইনে আয় করা টাকা সরাসরি আপনি বিকাশে নিতে পারবেন না. 

তবে এখানে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আপনি কোন ওয়েবসাইট থেকে যদি আয় করেন এবং সে সাইটটি যদি বাংলাদেশী কোন এডমিনের দ্বারা পরিচালিত হয় কিংবা তার বিকাশ পেমেন্ট সাপোর্ট করেনা কিনা ই ইত্যাদি বিষয়গুলো এখানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। এমন অনেক অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে যেখানে তারা সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে ক্যাশ উইথড্র করার সুযোগ দিয়ে থাকে সে ধরনের কোন ওয়েবসাইট যদি আপনি কাজ করে থাকেন এবং সেই সাইটগুলো যদি রিয়াল বা ফেক না হয়ে রিয়াল হয় তাহলে অবশ্যই আপনি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। 

এছাড়াও আপনি যদি কোন বাহিরের দেশের কোন ওয়েবসাইট এর অন্তর্ভুক্তি হয়ে কাজ করবে থাকেন এবং বিকাশে পেমেন্ট করে না বড় অন্য কোন পেমেন্ট গেটে পড়ে তাকে সে ক্ষেত্রে আপনি কোন থার্ড পার্টি ব্যবহার করে পেমেন্টটি রিসিভ করতে পারেন যেমন PayPal. MasterCard. Visa card. ইত্যাদি এগুলোর মাধ্যমে।

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে। How to online income of smartphone

বন্ধুরা বিকাশের মতো অনেকেরই মনে অনেকগুলো প্রশ্ন থেকে থাকে যে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করা যায় কিনা সত্যি কথা বলতে বিকাশের মতোই একদম সহজ করে এক কথায় যদি উত্তর দিতে হয় তাহলে আমরা বলতে পারি যে না আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন না। উপরে অনলাইন থেকে আয়ের যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা আপনাদের অবগত করেছি সেই কাজগুলি করতে গেলে কিন্তু একটি মোবাইলের মাধ্যমে কখনো সম্ভব না একটি কম্পিউটার হলে সে কাজগুলো বেশি ভালোভাবে করতে পারবেন। 

আমি বলছি না যে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে একদমই আয় করা যাবে না হ্যাঁ আপনি অনলাইন থেকে মোবাইল দিয়ে আয় করতে পারবেন খুব ছোট ছোট কাজগুলি করে থাকেন। আপনি যখন অনেক বড় বড় ইউটিউবার এর মত কাজ করতে শুরু করবেন তখন শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে আপনি ভিডিও করে অনেক লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার ও ভিউজ টাইম পরিপূর্ণ করতে পারবেন। 

এমনও অনেক রয়েছেন যারা শুধুমাত্র একটি মোবাইল দিয়েই ফেসবুক একটি পেজ পরিচালনার মাধ্যমে তাদের অনলাইন ব্যবসা কে টিকিয়ে রাখছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই অনলাইনে টাকা পয়সা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর প্রয়োজন পড়বে নতুবা আপনার পক্ষে কখনো সম্ভবও পর হয়ে উঠবে না অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা তবে এটা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে।

শেষ কথাঃ অনলাইন ইনকাম (online income) এর আবির্ভাব। অনলাইন আয় এর সেরা ১০ টি উপায়

বন্ধুরা আমরা আমাদের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে অনলাইন থেকে ইনকাম করার মতো বেশ অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আপনারা যদি নিজে থেকে এ বিষয়গুলি শিখতে পারেন তাহলে আপনাদের নিজের একটি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং হাজার হাজার বেকার যুবক এখানে আপনাদের সাথে কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। বন্ধুরা আমাদের অনলাইন আই এর সেরা ১০টি উপায় এবং বিভিন্ন অনলাইন ইনকাম টিপস পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আজকে এ পর্যন্তই আমরা আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে পরের আর্টিকেলের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকতে আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি। এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। ২০২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url