জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১৩ টি আমল

 dfgfjhgy  আল্লাহ তাআলা এই জুমার দিনকে পৃথিবীর অন্যান্য তাৎপর্য দিবস সমূহ থেকে বিশেষ মর্যাদা ঘোষিত করেছেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন অতঃপর তোমাদের নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাও এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করতে থাকো ও আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো যাতে তোমরা সফলকামি হও (সূরা জুমুআ, আয়াতঃ ১০)তাই আমরা আজকে এই জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১৩ টি আমল সম্পর্কে জানব চলুন তাহলে জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১৩ টি আমল সম্পর্কে জানা যাক।

জুমার দিন

vghjhjkhu

ভুমিকাঃ জুমার দিনে গুরুত্বপূর্ণ ১৩ টি আমল  

সালাতুল জুমা হল ইসলামের অন্যতম একটি বিশেষ নামাজ যুব শব্দের অর্থ হলো একত্রিত হওয়া সম্মিলত হওয়া যেহেতু সপ্তাহের নির্দিষ্ট এই দিনটি শুক্রবার সেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক মোমেন মুসলমান ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামায়াতের সঙ্গে ওই দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজ ফরজ নামাজ হিসেবে আদায় করা হয় তাই এই নামাজকে বলা হয় জুমার নামাজ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মদিনায় হিজরতের পর একবার মদিনার এক আনসার সাহাবীরা একত্রিত হয়ে আলোচনায় বসলেন এবং তারা বললেন যে ইহুদিরা যেমন তাদের সপ্তাহে একত্রিত হওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন রয়েছে নাছারাও তাদের সপ্তাহে একত্রিত হওয়ার একটি নির্দিষ্ট দিন রয়েছে সেহেতু মুসলমানদের জন্যও সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিন হওয়া উচিত যে দিনে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করব এবং তার সালাত আদায় করব।

যেহেতু শনিবার ইহুদিরা তাদের বিশেষ দিন হিসেবে পালন করে এবং রবিবার নাছারারা তাদের বিশেষ দিন হিসেবে পালন করে ততপর এই শুক্রবারকে বা জুমার দিনকে মুসলমানরা তাদের বিশেষ দিন হিসেবে পালন করে থাকে।

হাদিসঃ জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১৩ টি আমল 

ইসলামে জুমার দিন একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন তাই এই দিনের প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন দিবস সমূহের মধ্যে জুম্মার দিন হলো সর্বশ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে সম্মানিত।(ইবনে মাজাহ ঃ ১০৮৪)

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, যে হে মুমিনগণ জুম্মার দিন যখন আজান হয় তখন তোমাদেরকে নামাজের জন্য আহ্বান জানানো হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দুনিয়াবী সমস্ত কাজ যেমন বেচাকেনা ইত্যাদি ছাড়াও যে সকল কাজকর্ম রয়েছে সেগুলো ছেড়ে দাও এবং আল্লাহর স্মরণে এগিয়ে আসো এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা তা জানতে। (সূরা জুমাঃ ০৯)

রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এরশাদ করেছেন যে, তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করো কারণ তোমরা যখন দূর পাঠ কর তখন ফেরেশতারা তোমাদের নাম আমার সামনে পেশ করে।(মুসনানে আবু দাউদঃ ১০৪৭)

সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুম্মার দিন হল সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম দিন এই দিনে হযরত আদম আলাইহিস সাল্লামকে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং একই দিনে তাকে জান্নাতের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়েছিল অতঃপর ওই একই দিনেই আবার হযরত আদম আলাইহিস সাল্লামকে জান্নাত থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। (মুসলিম শরীফঃ ৮৫৪)

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১৩ টি আমল নিচে জেনে নিন ঃ যথা

  • জুমার দিন আগে আগে ঘুম থেকে ওঠা।
  • পাক পবিত্র ভাবে গোসল করা।
  • উত্তম বা পবিত্র পোশাক পরিধান করা।
  • সুগন্ধি ব্যবহার করা বা আতর মাখা।
  • অতি দ্রুত মসজিদে যাওয়া।
  • পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
  • বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা।
  • দোয়া কবুলের দিনে দোয়ার প্রতি বেশি মনোনিবেশ করা।
  • রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর প্রতি বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করা।
  • তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজ আদায় করা।
  • মনোযোগের সহিত ইমামের খুতবা শোনা এবং পরিপূর্ণভাবে জুমার নামাজ আদায় করা।
  • কাতার ভেঙ্গে সামনে না যাওয়া ।
  • সূরা কাহাফ সম্পূর্ণ পড়া উত্তম তথা  শেষ দশ আয়াত পর্যন্ত তেলাওয়াত করা।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বন্ধুমহল আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url