কলা খাওয়ার ১০ টি আশ্চর্যকর গুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ কলা আমরা সকলেই খেয়ে থাকি কিন্তু কলার গুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানি না তাই আপনি কি কলার ১০ আশ্চর্যকর গুণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। চলুন জেনে নেয়া যাক কলা খাওয়ার ১০ টি আশ্চর্যকর গুন সম্পর্কে বিস্তারিত

কলা পুষ্টিতে সমৃদ্ধ

কলা আমাদের অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল।এই ফলটিপ্রায় সবসময়ই পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি পটাশিয়াম ভিটামিন বি ৬ ডায়েটারি ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে পরিপূর্ণ রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তাই বলা যায় কলা পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে।

কলা পেশীর কর্যকারিতা বাড়ায়

কলাতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেমন পটাশিয়াম উৎপাদন পেশির স্ক্রাব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে সঠিক পেশীর কার্যক্ষমতা ও ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বৃদ্ধি করে। যা আমাদের দেহের মাংসপেশী কার্যক্ষমতা অধিক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। তাই আমাদের অধিক পরিমাণে নিয়মিত কলা খাওয়া প্রয়োজন।

কলা শক্তি বৃদ্ধি করে

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে গ্লুকোজ ফটোস এবং সুক্রোজ সহ নানা প্রাকৃতিক শর্করা একটি বড় উৎস হলো কলা। তারা এটি দ্রুত এবং টেকসের শক্তি বৃদ্ধি প্রদান করে ব্যয়ের আগে বা পরে তাদের একটি আদর্শ স্কেল করে তোলে। রয়েছে গ্লুকোজ ও ফাইবারের মতো পুষ্টি তাই কলা শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রচুর পরিমাণে শরীলকে এনার্জিটিক করে তোলে।

কলা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

কলা খেলে আমাদের হজম শক্তি অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায় কলায় পাওয়া গেছে খাদ্য তালিকা গত ফাইবার অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আমাদের প্রাচনতন্ত্রকে উন্নত করে এই কলা তাই আমাদের প্রতিনিয়তই বেশি বেশি কলা খাওয়া প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ প্রতি দিন কমলা খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

কলা শুধু হজম শক্তি বৃদ্ধি করে না তার সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করতে উপকার করতে পারে। যাদের হজম শক্তির অভাব রয়েছে তারা বেশি বেশি নিয়মিত কলা খান অধিক ভালো ফল পাওয়া যায়।

কলা হার্টেকে নিয়ন্ত্রণ করে

কলা আমাদের হাটকে নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক সাহায্য করে কেননা কলায় রয়েছে সোডিয়াম কম এবং পটাশিয়াম বেশি যা আমাদের স্বাস্থ্যকর রক্তচাপ মাত্রা বজায় রাখার জন্য পরিহার্য। তাই নিয়মিত কলা খাওয়াই অভ্যাস করলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার তার সাথে সাথে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।

কলা মেজাজ বৃদ্ধি করে

কলা এমন একটি খাদ্য বা ফল যেখানে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এবং তার সাথে সাথে আমাদের মেজাজ বাড়াতে অনেক ভূমিকা পালন করে কলা। কলায় রয়েছে ট্রিপটোফ্যান কলাতে একটি এমিনো এসিড যা মস্তিষ্ক সেরোটোনিন মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অধিক সাহায্য করে কলা।সেরোটোনিন সুখী হরমোন হিসেবে পরিচিত এবং এটি মেজাজ উন্নত করতে এবং বিষন্নতা লক্ষণ গুলি কমাতে পারে তাই আমাদের বেশি বেশি কলা খাওয়া প্রয়োজন।

কলা হারকে মজবুত করে।

কলা আমাদের হারকে মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই কলার বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই আমরা যদি হাড় মজবুত করতে চাই তাহলে নিয়মিত কলা পান করতে হবে।

ফ্রক্টলি গোসেকারাইডের মত পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণের সহায়তা করে

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

হারকি শক্তিশালী করে এবং অস্টিওপুরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই আমরা যারা আমাদের হাডকে মজবুত করতে চাই।

কলা চোখের জ্যোতি বাড়ায়

কলা চোখের জ্যোতি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিন ও অন্যান্য যৌগ গুলি একটি ভালো উৎসব যার চোখের স্বাস্থ্যের অবদান রাখে নিয়মিত কলা সেবনের মাধ্যমে চোখের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে কলা। চোখের জ্যোতি বাড়াতেও অনেক সাহায্য করে থাকে এই কলা। তাই আমরা বেশি বেশি কলা খাওয়ার চেষ্টা করব।

কলা হলো প্রাকৃতিক এন্টাসিড

ফলের মধ্যে কলাতে রয়েছে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন প্রাকৃতিক এন্টাসিড বৈশিষ্ট্য অবলম্বন প্রস্মিত করতে এবং এসিড রিলাক্স লক্ষণগুলি কমাতেও সাহায্য করে থাকে। এগুলি পাকিস্থলির এসিডের বিরুদ্ধে প্রকৃতি বাফার হিসেবে কাজ করে হজমের শক্তি অধিক পরিমাণে বাড়াতে সাহায্য করে কলা।

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন। আবারও দেখা হবে কোন আর্টিকেলের সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।